'বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা'- পাইন কাঠের বাক্সে আগলে রাখা সেপিয়া টোনের স্মৃতি
উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান বলেছিলেন কোন স্থানে সঙ্গীত বা অন্য যেকোনো জিনিস অনবরত রেওয়াজ করতে থাকলে সেই স্থানে একটি অদ্ভুত শক্তির জন্ম হয়। সেই স্থানের দেওয়াল- জানালা চুইয়ে সঙ্গীত প্রবেশ করে। সমগ্র স্থানটি হয়ে ওঠে সংগীতময়। এই কথাগুলি বলার সময় ওনা্র চোখ ঠিকরে দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছিল চতুর্দিকে। পরিচালক গৌতম ঘোষ ভাগ্যিস তার নির্মিত ডকুমেন্টরি ফিল্মে উস্তাদের স্বর্ণোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করেছিলেন! এই কীর্তির ফলস্বরূপ হাল প্রজন্ম কিছুটা হলেও বিসমিল্লাহ খানকে জলজ্যান্ত প্রতক্ষ্য করার সুযোগ পাই। সানাই সম্রাট, তাই সম্ভব। কিন্তু যারা খুবই সাধারণ মানুষ; আমার-আপনার মতো ছড়িয়ে চতুর্দিকে- যাদের জীবনের ইতিহাস কোথাও হবেনা ছাপা। অথচ এই আপামর গুরুত্বহীন মানুষগুলোও যে ইতিহাসের কাল বিবর্তনের সাক্ষী হিসাবে সমান অংশীদার! আমরা কি সেই সকল সিনেমা-সাহিত্যে স্থান না পাওয়া অত্যন্ত তুচ্ছ মানুষগুলোকে চিনতে-জানতে আদৌ আগ্রহী? হয়তো না। সম্ভবত সেই কারণেই এই স্মৃতিহীনতার শতাব্দীতে আমাদের সাথে জুড়ে থাকা মানুষগুলো (সাথে নিজেদের শিকড়ের ইতিহাসও) মৃত্যুর পর দ্রুত বিস্মৃত হতে শুরু করে। লেখক কল্লোল লাহিড়ী তার সাম্প্রতিক বই উ...